Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Monday, November 4, 2019

ব্রেইনের জন্য সুখাদ্য: ব্রেইন পাওয়ার বাড়াবেন কিভাবে


ব্রেইন আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ব্রেইনের যত্ন নেয়ার কথা আমরা তেমন ভাবি না! শুধু অভিযোগ করে যাই আমার মাথা ঠিকমতো কাজ করছে না বা আজকাল আমার কিছুই মনে থাকে না! অন্যান্য অঙ্গের মতো ব্রেইনেরও খাবার, পুষ্টি ও এনার্জি দরকার। টোটাল বডি এনার্জির ২০ শতাংশ ব্রেইন ব্যবহার করে।
তাই আমাদের দৈনিক খাবার মেনু এমন হওয়া উচিত, যেন তা ব্রেইনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও এনার্জি সরবরাহ করতে পারে।
যে খাবার ডায়েট চার্টে রাখতে হবে
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট- ব্রেইন গঠন করে
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা ব্রেইনের মেরামত ও নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়া এগুলো আপনাকে নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী করে এবং মানসিকভাবে ভালো অনুভব করায়। ওলিক এসিড ব্রেইনকে ক্ষীপ্র করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট- ব্রেইনকে সুরক্ষা দেয়
খাবারে এ উপাদানের অভাব থাকলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। তাই Antioxidants সমৃদ্ধ খাবারের দিকে নজর দিতে হবে। এর ভালো উৎস হল- সবুজ চা, ব্লুবেরী ও অন্যান্য বেরীজাতীয় ফল, লাল আঙ্গুর, টমেটো, গাজর, রসুন, পালং শাক, whole grains ও সয়া দ্রব্য।
ভিটামিন ও মিনারেলস- ব্রেইনের গঠনকারী ইট
সুনির্দিষ্ট কিছু ভিটামিন ও মিনারেলস ব্রেইনের গঠনে প্রয়োজন। ব্রেইনের কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন হল- Vitamins C, B12 I B6. মিনারেলসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল- ক্যালসিয়াম ও আয়রন। এসব ভিটামিন ও মিনারেলস নিয়মিত খেতে হবে।
আঁশ- ব্রেইনে ফুয়েল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে
ব্রেইন শুধু গ্লুকোজ থেকেই শক্তি নিতে পারে। রক্তে এ গ্লুুকোজের সরবরাহ ধীর ও নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে আঁশজাতীয় খাবার। ভালো পরিমাণে আঁশ পাওয়া যাবে : শুষ্ক ফল (কিশমিশ, খেজুর, কালো কিশমিশ), বিভিন্ন রকমের শাকসবজি, আস্ত ফল (যেমন- আপেল, কমলা, নাসপতি) whole wheat grains (বার্লি, লাল চাল, বিভিন্ন ধরনের whole wheat pastas and cereals)।
পানি- ব্রেইনকে আর্দ্র রাখে
সামান্য পানিশূন্যতাও মানসিক শক্তি কমিয়ে দেয় এবং স্মৃতিশক্তির ওপর প্রভাব ফেলে।তাই কমপক্ষে ২.৫-৩ লিটার দৈনিক পানি পান করা উচিত।
কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন
কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার serotonin-এর লেভেল ঠিক রাখে। ঘুমের ধরন, মুড, appetite ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্রেইনের কোষ serotonin ব্যবহার করে। এছাড়া অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও নিয়ন্ত্রণ করে serotonin। তাই জটিল কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে।
প্রয়োজন নিয়মিত গ্লুকোজ সরবরাহ
ব্রেইন শুধু গ্লুকোজ থেকেই শক্তি নিতে পারে। নিয়মিত খাবার গ্রহণ না করলে রক্তে গ্লুকোজ লেভেল কমে যায়। ফলে মেমোরি লস হতে পারে। দেখা যায় যারা সকালের নাশতা বাদ দেয় তাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়। খুব তাড়াতাড়ি গ্লুকোজ পাওয়া যাবে আস্ত ফল থেকে, যেমন- আপেল, কমলা, আঙ্গুর ইত্যাদি।
শিম (Fava Beans)
শিমে খুব ভালো পরিমাণে আছে লোভাডোপা। আমাদের ব্রেইন লোভাডোপাকে ডোপামিনে রূপান্তরিত করে।
হার্বস
হার্বস খাবারের স্বাদই শুধু বাড়ায় না, আমাদের চিন্তা-ভাবনায়ও বিশেষ প্রভাব ফেলে। হার্বস স্মৃতিশক্তি উন্নত করে, মানসিক দক্ষতা বাড়ায়, মনোযোগ বাড়ায়, মানসিক সতর্কতা বাড়ায়।
মাছ
প্রোটিন হল নিউরোট্রান্সমিটার তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রয়োজন। মাছ হল প্রোটিনের ভালো উৎস। এছাড়া মাছে আছে essential oils যা ব্রেইনের বর্ধন, সুরক্ষা ও কাজের জন্য প্রয়োজন।
বিভিন্ন রকমের বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার ফুলকপি, ব্রোকলি, বাঁধাকপি ব্রেইনের জন্য উপকারী।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages