তবে এগুলো ছাড়াও কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলোর জন্য ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়। ঋতুস্রাব অনিয়মিত হওয়ার কিছু কারণ জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।
১. মানসিক চাপ
মানসিক চাপ কিন্তু ঋতুচক্রে সমস্যা তৈরি করে। বেশি মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়ে পড়ে।
মানসিক চাপ হলে মস্তিষ্ক ইসট্রোজেন ও ডিম্বোস্ফোটনের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন তৈরি করা বন্ধ করে দেয়। আর এতে ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়।
২. অতিরিক্ত ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়াম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে অতিরিক্ত ব্যায়াম কখনো কখনো নারীদের জন্য সুখকর নয়, বিশেষ করে যারা অ্যাথলেটস। অতিরিক্ত ব্যায়াম ঋতুচক্রের ওপর প্রভাব ফেলে।
অন্যান্য মানসিক চাপের হরমোনের মতো অতিরিক্ত শারীরিক উদ্যমে করটিসল নিঃসৃত হয়। এতে সেক্স হরমোন তৈরির জন্য যে শক্তি প্রয়োজন, সেটি ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৩. পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস)
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম হলে ডিম্বোস্ফোটনে সমস্যা তৈরি হয়। এটি অনিয়মিত ঋতুস্রাবের অন্যতম কারণ। পিসিওএসের অন্যান্য লক্ষণ হলো, ব্রণ, অবাঞ্ছিত লোম ও স্থূলতা।
৪. থাইরয়েডে সমস্যা
থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্রম ব্যাহত হলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়। হতে পারে থাইরয়েড হরমোন বেশি বা কম নিঃসৃত হচ্ছে, তবুও সমস্যাটি ঘটতে পারে।
থাইরয়েড হরমোন শরীরের বিপাকে সহায়তা করে এবং সেক্স হরমোনে প্রভাব ফেলে। আর তাই এই হরমোনের সমস্যা হলে ঋতুচক্র ব্যাহত হয়।
৫. খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম
একটি সঠিক ডায়েট সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। কেবল তা-ই নয়, স্বাস্থ্যকর ঋতুচক্রের জন্যও এটি অনিবার্য। পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রোবায়োটিকের ঘাটতি হলে অ্যাডরেনাল গ্রন্থি ও থাইরয়েডের ওপর প্রভাব পড়ে। এই হরমোনের পরিবর্তন অনিয়মিত ঋতুস্রাব একটি বড় কারণ।
No comments:
Post a Comment