২। পাশ ফিরে শোওয়ার অভ্যাস করুন: ডাক্তাররা প্রেগন্যান্ট মহিলাদের পরামর্শ দেন পাশ ফিরে শুতে। এর পোশাকি নাম হল sleep on side বা সংক্ষেপে SOS। পাশ ফিরে শুলে আপনার কোমর ও পিঠের হাড়ে কোনরকম চাপ পড়ে না। ডানদিকে ফিরে শুলে জরায়ু একপাশে থাকে। ফলে তা আপনার অ্যাওর্টা ধমনির উপর চাপ সৃষ্টি করে না। হৃৎপিণ্ডের রক্তসঞ্চালনে তাই কোনও সমস্যার সৃষ্টি হয় না। পাশ ফিরে শোওয়ার আরেকটি ভালো দিক হল শ্বাসের সমস্যা না হওয়া। যেহেতু এক্ষেত্রে জরায়ু মধ্যচ্ছদায় চাপ সৃষ্টি করে না, তাই বুকে ব্যাথা, শ্বাসের সমস্যা ইত্যাদি হয় না। ডাক্তাররা বলেন বামদিকে ফিরে শোওয়া সবথেকে ভালো এবং এতেই সবচেয়ে আরামে ঘুমানো সম্ভব।কারণ আমাদের লিভার থাকে ডানদিকে, ফলে বামদিক ফিরে শুলে লিভারের উপর চাপ পড়ে না, আর ক্ষুদ্রান্ত্রও জরায়ুর অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্ত থাকে। এতে খাদ্যনালীর সিস্টেম যেন ঠিকঠাক কাজ করে, তেমনই ঘুমের ক্ষেত্রেও এনে দেয় আরাম।
৩। এদিক ওদিক ফেরা যাবে না: প্রেগন্যান্সির সময় ঘুমের অসুবিধার কারণে অনেকেই এদিক ওদিক ফিরে নিজের সবচেয়ে কমফোর্ট জোনকে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে অহেতুক চাপ পড়ে হাড় ও হাড়ের জয়েন্টে। অনেকেই ঘুমের মধ্যে এদিক ওদিক ফিরতে বা শোওয়ার ভঙ্গি বদল করতেই অভ্যস্ত। এমনটা করলে নিজের অজান্তেই রক্তসঞ্চালনে সমস্যা তৈরী হতে পারে, শ্বাসের সমস্যায় ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে, এমনকি বাড়তে পারে কোমর ও পিঠের যন্ত্রণা। তাই ডাক্তাররা বলেন যেদিক ফিরেই শোন, পিঠের দিকে একটি পাশবালিশ রাখা যেন থাকে, এটি থাকলে সহজে শোওয়ার ভঙ্গি বদলানো অসম্ভব। অনেক মহিলারাই বলছেন পাশ ফিরে শুয়ে পা ভাঁজ করে দুপায়ের ফাঁকে একটি বালিশ রাখলে ভালো ঘুম হয়। এছাড়া পাশ ফিরে শুয়ে পেটের নীচে একটি বালিশ নিয়ে শুতেও অনেক আরামবোধ করেন। এই টোটকাগুলোও চেষ্টা করে দেখতেই পারেন, তবে সবার আগে এক্ষেত্রেও কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শই নেওয়া উচিত। তাই সেদিক থেকে কোনো ফাঁক না থাকাই ভালো।l
No comments:
Post a Comment